Technology

banner image

#গ্রেট #ব্লু #হোল!



প্রায় ৪৫৪ কোটি বছর আগে গঠিত হওয়া আমাদের পৃথিবী হল মানুষ সহ কোটি কোটি প্রজাতির আবাসস্থল । পৃথিবীই একমাত্র মহাজাগতিক স্থান যেখানে পরিপুর্ন প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। পৃথিবী স্মৃষ্টির প্রায় এক বিলিয়ন বছরের মধ্যেই পৃথিবীর বুকে প্রাণের আবির্ভাব ঘটে।
আদিম অন্ধকার যুগ পেরিয়ে মানুষ এখন বিজ্ঞানের যুগে প্রবেশ করেছে। বিজ্ঞানের কল্যাণে প্রায় প্রতিদিন মানুষ এই পৃথিবীর সকল নানা অজানা রহস্য ভেদ করছে। শুধু কি এই পৃথিবীই? নুতুন নতুন রহস্য ভেদ করার জন্য মানুষ মহাকাশেও পৌঁছে গেছে। তবে পৃথিবীর জলে স্থলে থাকা রহস্য গুলোর মধ্যে অন্যতম জলজ রহস্যের দুনিয়া হল গ্রেট ব্লু হোল।
গ্রেট ব্লু হোল বেলিজ উপকূলে অবস্থিত একটি বৃহৎ সমুদ্রগর্ভস্থ গর্ত। ব্লু হোলগুলো মূলত একটি বিশাল কেভ নেটওয়ার্কের প্রবেশদ্বার। বেলিজের বেরিয়ার রিফ রিজার্ভ সিস্টেম অবস্থিত, এটি বেলিজ সিটি থেকে প্রায় ৬০ মাইল দূরে। এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র গর্ত হিসাবে বিশ্বাস করা হয়।
এটির আকৃতির বৃত্তাকার, ব্যাসার্ধ ৩০০ মিটার (৯৮৪ ফুট) এবং ১২৪ মিটার (৪০৭ ফুট) গভীরে। ধারনা করা হয় ৬৫ হাজার বছর আগে পৃথিবীতে শেষবারের মতো যখন বরফ রাজত্ব করছে, পৃথিবীর সব জল জমে জমে জড়ো হয়েছিল মেরু অঞ্চলে। সমুদ্রপৃষ্ঠও তাই তখন ছিল এখনকার চেয়ে অনেক নিচুতে। বেলিজে তখন সমুদ্রপৃষ্ঠ ছিল এখনকার চেয়েও আরো ১৫০ মিটার নিচুতে।
তখন ক্যালসিয়াম কার্বনেট জাতীয় পদার্থ জমে তৈরি হয় পাথর। আর সেই পাথর দিয়ে সৃষ্টি হয় কেভের বিশাল কাঠামো। কিন্তু যখন বরফ আবার গলতে শুরু করে, সাগরের জলের উচ্চতাও বাড়তে শুরু করল। জলের নিচে ডুবে যায় সেই কাঠামো। মোটামুটি আজ থেকে ১০ হাজার বছর আগে পুরো কেভ নেটওয়ার্কই একেবারে জলের নিচে ডুবে যায়। আর তখনই কয়েক জায়গার পাথর ভেঙে সৃষ্টি হয় এই ব্লু হোলগুলো।
হোলের ভিতর পুরো আলাদা একটা জগত চলছে। সেখানে যে কতো আজব আজব প্রাণী আছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই! এমনও অনেক জলজ প্রাণীর খোঁজ সেখানে পাওয়া গেছে যেগুলোর খোঁজ বিজ্ঞান এখানেই প্রথম পেয়েছে। এখনো চলছে নতুন প্রাণী খোঁজার প্রক্রিয়া।
এই ব্লু হোল কে ঘিরে রয়েছে নানা কল্পকাহিনী। কেননা আগে অনেকে বলত, এই ব্লু হোলে একবার কেউ নামলে নাকি সে জীবত অবস্থায় ফিরে আসতে পারত না।
ব্লু হোলে “লাস্কা” নামক প্রাণী আছে বলে ধারনা করা হত। যে প্রাণীটি ব্লু হোলে মানুষ নামলেই তার পা টেনে নিয়ে একেবারে গভীরে পাথরের নিচে নিয়ে যেত। যার চেহারার উপরের অংশ অক্টোপাসের মত আর নিচের অংশ হাঙরের মত। তবে আজ পর্যন্ত এই প্রাণীর সন্ধান বা অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
গ্রেট ব্লু হোল হল আজব জলের দুনিয়া যেখানে রয়েছে নিত্য নতুন রহস্য । উপর থেকে দেখলে মনে হবে এ যেন এক বিস্ময়কর চোখ । আর এই চোখের মধ্যেই রয়েছে নানা রহস্যময় প্রাণী। যাদের অনেকের এখনো খোঁজ মিলেছে, আর কিছু থেকে যাচ্ছে শুধু রহস্য হয়েই।
#সুত্রঃ ইন্টেরনেট ও উইকিপিডিয়া।
#গ্রেট #ব্লু #হোল! #গ্রেট #ব্লু #হোল! Reviewed by ভূগোল প্রেমী on মার্চ ১৭, ২০১৭ Rating: 5

Home Ads

Blogger দ্বারা পরিচালিত.